খুলনা, বাংলাদেশ | ৩০শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৩ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১৫
  ডেঙ্গুতে আরও পাঁচজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১৫৯
  রোজার আগে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন, ইউনূস-তারেক বৈঠকে সিদ্ধান্ত

পাইকগাছায় প্রচন্ড তাপে জনজীবন বিপর্যস্ত

পাইকগাছা প্রতিনিধি

দেশের বিভিন্ন স্থানের মতো খুলনার পাইকগাছাও প্রচন্ড তাপদাহ ও ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। বিশেষ কাজ ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না মানুষ। অনেকে তালের শাস খেয়ে তৃষ্ণা নিবারন করছেন। বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দুপুর বারোটার পর থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত ফাঁকা হয়ে পড়ছে রাস্তা ও বাজার এলাকা।

তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় টানা তিনদিন পড়ছে প্রচন্ড গরম। মাঠে কাজ করা শ্রমজীবী মানুষেরা তাপদাহে হাপিয়ে উঠছে। ঘরের ফ্যানের বাতাসও যেন গরম হয়ে উঠছে। তারপরও রয়েছে মাঝে মধ্যে বিদ্যুৎ বিভ্রাট। বেলা বাড়ার সাথেই বাড়ছে তাপপ্রবাহ। দুপুরের দিকে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রী ছুই ছুই অবস্থা।

শ্রমজীবী ও স্থানীয়রা বলেন, গরমে কোনো কাজ করতে পারছেন না তারা। শহর এলাকায় গরমে নাভিশ্বাস বাড়ছে মানুষের। লবনাক্ত উপকূল এলাকা পাইকগাছায় ৪১-৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা অনুভূত হচ্ছে।

সারা দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। পাশাপাশি বেড়েছে বাতাসে আর্দ্রতা। সব মিলিয়ে ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। জ্যৈষ্ঠের শেষে আরো তেতে উঠছে সূর্য। কয়েক দিন ধরে দেশের বড় অংশজুড়ে প্রচণ্ড গরম পড়েছে। দিনে আগুনে রোদ ও গরমে খাঁ খাঁ করে চারদিক। রাতেও তাপমাত্রা কমে না। আর সেই সাথে লোডশের্ড়িং ও তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। গরমের কারণে বাড়ছে হিট স্ট্রোকের মতো স্বাস্থ্যঝুঁকি। ডায়রিয়ায়ও আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে।

পাইকগাছার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, তীব্র তাপদাহ ও ভ্যাপস গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জন জীবন। গত কয়েকদিন ধরে সূর্যের প্রখর তাপদাহ ও তীব্র গরমে নাজেহাল অবস্থা প্রতিটি শ্রেণি-পেশার মানুষের। বিশেষ করে শ্রমজীবী ও কর্মজীবীদের জীবন যেন বেরিয়ে যাওয়ার উপক্রম। তারপরও জীবন-জীবিকার তাগিদে ঘাম ঝরিয়ে ছুটতে হচ্ছে তাদের। পাইকগাছার খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষের পাশাপাশি প্রাণিকুলও গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।

এ উপজেলায় প্রচন্ড তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় মানুষে জনজীবন অনেকটা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। একদিকে রোধের প্রখর তাপ অন্যদিকে বিদ্যুতের ঘন ঘন তেলেশমাতি মানুষের জনজীবনে দুর্ভোগের নতুন মাত্রা সৃষ্টি হয়েছে। প্রচন্ড রোদের গরমে সাধারণ হতদরিদ্র মানুষরা জীবিকা নির্বাহের জন্য রাস্তায় বের হতে পারেনা। দুপুর হলে রাস্তাঘাটে লোকজনের সংখ্যা একেবারে কমে যায়। তীব্র গরমের কারণে দিনমজুর শ্রমিকরাও সহজে কাজে যেতে চায়না।

পৌর শহরের ফজলু মিয়া বলেন, এই তীব্র গরমে মাঠে কাজ করতে ইচ্ছে হচ্ছে না। মনে হচ্ছে শরীরে আগুনের তাপ লাগছে।

গোপালপুর গ্রামের ভ্যান চালক নুর ইসলাম বলেন, বেশি তাপের কারণে দুই-তিন ঘন্টার বেশি ভ্যান চালাতে পারছি না। রাস্তা থেকে গরম তাপ এসে যেন মুখে লাগছে। তাপ ও রৌদ্রের কারণে রাস্তায় বেশিক্ষণ থাকতে পারি না।

প্রচন্ড গরমের কারণে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে রোগীদের সংখ্যাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ মাহাবুবর রহমান বলেন, গরমে শিশুদের ডায়রিয়া, টাইফয়েড, শরীরে ঘাম বসে নিউমোনিয়া, ঠান্ডা, সর্দি, কাশি, জ্বর ও প্রস্রাবে সংক্রমণ দেখা দিচ্ছে। বিনা কারণে শিশুকে ঘরের বাইরে বের না হতে বলা হচ্ছে অভিভাবকদের। সেই সঙ্গে বিশুদ্ধ পানি ও টাটকা খাবার খাওয়াতে হবে ও ফ্যানের নিচে বাতাসে রাখতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!